হিন্দু, মুসলিম খ্রিস্টান এই তিনটি ধর্মের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ ?

(মন ও জ্ঞানচক্ষু দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো) 
___________________________________________
ভগবৎ প্রণীত নিয়মকানুনই ধর্ম ৷ ভগবান স্বয়ং অথবা তাঁর শুদ্ধ ভক্তরা জগতে ধর্ম প্রচার করেন ৷ প্রত্যেক ধর্মের মূল কথা ভগবানকে ভালবাসা এবং তাঁর নিয়মকানুন পালন করা ৷ সেই নিয়মের বিরুদ্ধ আচরণকারীকে বিধর্মী বলে ৷
'হিন্দুধর্ম' বলে কোন প্রকার ধর্মের কথা কোনও বৈদিক শাস্ত্রে পাওয়া যায় না ৷ হিন্দু, মুসলমান বা খ্রিস্টান— এইগুলি কোনও সনাতন (eternal) দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ধর্ম বলেই মনে করেন না ৷ মহাবিশ্বের পরম নিয়ন্তা একজন মাত্র ৷ তাঁকে কেউ ঈশ্বর, কেউ আল্লা, কিংবা গড —বলে সম্মোধন করেন ৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, ভগবান কে, তাঁকে দেখতে কেমন, তিনি কোথায় থাকেন ? তাঁরা কেউ বলবে —তিনি শূন্য বা নিরাকার, কেউ বলেন — তিনি আমিই ৷ আমি ভগবান, জীব ভগবান, সবাই ভগবান— এইভাবে উজবুকের মতো কত রকমের উদ্ভট মন্তব্য অনেকে করে বসেন ৷ এগুলি ধর্মের নামে প্রতারণা ৷
বৈদিক শাস্ত্রেসমূহে অসংখ্য উল্ল্যেখ রয়েছে যে, পরম নিয়ন্তা হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সমস্ত দেবদেবী সমস্ত প্রাণী তাঁর অধীন দাস মাত্র ৷ শ্রীকৃষ্ণ, আল্লা, কিংবা গড— একই পরম পুরুষ ৷ তাঁকে ভগবানরূপে ভজনাই প্রত্যেকের ধর্ম ৷ সমস্ত দেবদেবী, ব্রহ্মা, শিব পর্যন্ত প্রত্যেকেই ভগবানের আরাধনা করছেন ৷ অথচ তথাকথিত হিন্দু নামক ব্যক্তিরা নিজেদের ভোগতৃপ্তির উদ্দেশ্যে খেয়াল-খুশি মতো নানা দেবদেবীর উপাসনা করছেন এবং তাঁরা মন্তব্য করে বসেছেন যে, পরম নিয়ন্তা শ্রীকৃষ্ণ এবং অন্যান্য দেবদেবী— শিব, দুর্গা, কালীও সব এক ৷ এই রকম ধর্মধ্বজীরা 'পাষণ্ডী' বলে শাস্ত্রে অভিহিত ৷ বৈদিক শাস্ত্রে ৩৩ কোটি দেবদেবীকে একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অধীন বলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ৩৩ কোটি দেবতা শ্রীকৃষ্ণেরই শক্তি, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণই ভগবান, দেবতারা ভগবান নন ৷ অাল্লা এবং গড শব্দ ৩৩ কোটি দেবতাকে বোঝানো হয় না, ভগবানকেই বোঝানো হয় ৷
প্রকৃতপক্ষে পরম স্রষ্টার সৃষ্ট জীব হয়ে আমাদের কর্তব্য হল সেই পরমেশ্বরের নির্দেশের অনুকূলে জীবন যাপন করা ৷ সমগ্র বৈদিক গ্রন্থসম্ভারে এটিই নির্দেশিত হয়েছে যে, আমরা সেই সৎ, চিৎ ও আনন্দময় পরমেশ্বরের অংশ-স্বরূপ চিরন্তন আত্মা বা রুহু বা সোল ৷ তাঁর কোনও জাতপাত নেই, আমাদেরও কোন জাতপাত নেই ৷ এই মহাবিশ্বে শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না, শক্তি কেবল এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন হয় ৷ আত্মার কোন ধ্বংস নেই, আত্মা কেবল শরীল পরিবর্তন করে ৷ আমাদের এই ক্ষণিক জীবনের পর যখন কর্মবাসনানুসারে হয়তো একটি আরশোলা বা ব্যাঙ-শরীর ধারণ করব, তখনি সেই জীবনে কোনও অহঙ্কারের মর্যাদা থাকে না ৷ তেমনি নিয়তির অধীনস্থ হয়ে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান—নানা উপাধী ধারণ করে জাতপাতের অহঙ্কার করা অতি গণ্ডমূর্খ ব্যক্তির উৎপাত মাত্র ৷ এই জন্মে যে হিন্দু, পরজন্মে সে মুসলমান বা খ্রিস্টান হতে পারে, মুসলমানও পরজন্মে হিন্দু কিংবা খ্রিস্টান হতে পারে ৷
"পুনর্জনম" বা "পুনরুত্থন" বা "জন্মান্তরবাদ" বা "পুনর্জন্মবাদ" বা "রুপান্তরবাদ" বা "কর্মফলবাদ" একই ঘটনা ৷ 
মারা যাওয়ার পরে বা দেহ থেকে আত্মা বা রুহু বা soul বের হয়ে গেলে, আবার কি মৃত দেহের ভিতরে আত্মা ফুকে দেয়া হয়? 
মৃত্যুর পর দেহকে কেন পোড়ানা কিংবা মাটির নিচে কবর দেয়া হয়?
কবর খুড়ে শিয়াল বা কুকুর যে পচা লাশ খায়, তখন মৃত লাশ শিয়াল বা কুকুরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খেদায় না কেন? সে তো জীবিত! তার না কবরে "সওয়াল জওয়াব" হয়? কবরে না আজাব হয়? 
মৃত দেহ কি নিজে নিজেই কবরে যেতে পারে? তবে এই মৃত দেহ ৩০ হাজার বছরের সুদীর্ঘ "পুলসিরাত" পার হবে কিভাবে?
"পরকাল" কি বুঝেন? 
ক্রিয়া বা কাল তিন প্রকার- অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। কর্মের পরের মুহূর্তকেই "ভবিষ্যৎকাল" বা "পরকাল" বলে।
পরমেশ্বর ভগবান ন্যায় বিচারক! 
এক জনের পাপের শাস্তি, 
আরেক জনকে কেন দিবেন?
পিতামাতার পাপের শাস্তি কেন নিষ্পাপ শিশু পাবে?
জন্ম থেকেই অন্ধ? 
জন্ম থেকেই বোবা? 
জন্ম থেকেই পঙ্গু? 
জন্ম থেকেই বিকৃত আকৃতি?
নিষ্পাপ শিশু কবে, কখন পাপ করলো?
আমার পাপের জন্য আমিই দোষী।
আমার পাপে আমিই ভুগবো।
গরীবী তো অভিশাপ।
কারো জন্ম হয় রাজ পরিবারে আবার কারো জন্ম হয় পতিতালয়ে।
রাজ পরিবারের শিশুটি কবে পুণ্য করলো? 
পতিতালয়ের শিশুটি কবে পাপ করলো? 
তাহলে #কর্মফল বলে অবশ্যই কিছু আছে?
সুতরাং বিষয়টি গভীর ভাবে বুঝার চেষ্টা করতে হবে !
সনাতন বা হিন্দুরা বলে- "জল" 
আর মুসলমানরা বলে- "পানি"
সনাতন বা হিন্দুরা বলে- "ভগবান" 
আর মুসলমানরা বলে- "আল্লাহ্‌" 
সনাতন বা হিন্দুরা বলে- "পুনর্জনম"
আর মুসলমানরা বলে- "পুনরুত্থন"
"জল" আর "পানি" কি আলাদা?
পাণ করলে আপনার তৃষ্ণা মিটবেই। এখন আপনি যে নামেই ডাকেন।
ইংরেজিতে "ওয়াটার" আরবিতে "মাউন" কোরিয়াতে "মুল" ৷
তেমনি- ঈশ্বর, ভগবান, আল্লাহ্‌, দিউ, গড, মাওলা ইত্যাদি তো একজনেরই নাম। আপনি যে নামে যে ভাষায়ই ডাকেন! একজনই তো।
কোনও বৈদিক শাস্ত্রে মানব সমাজকে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান— এইভাবে বিভাগ করা হয়নি ৷ এই সবই কথাগুলি স্বার্থপর ধর্মধ্বজীদের ব্যবস্থাপনা ৷ মানুষ এগুলির মধ্যে যে কোনও উপাধিযুক্ত হোক, যদি সে ভগবানের প্রতি অকৃত্রিম অকপট প্রীতিযুক্ত না হয়, তবে সেই কলুষিত জীবন অনর্থক এবং জগতে উৎপাত সৃষ্টিকারী ও অকল্যাণকর ৷
অনেক ধর্মান্ধ মূঢ় ব্যক্তি নিজেদের হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান বলে মনে করে বসে ৷ যদিও বা সেই বংশগত রোগটার জন্য তাদের কাউকে দোষী করা যায় না ৷ যেমন ছোটবেলা থেকে যদি কেউ বিড়ি খেতে শুরু করে এবং একজন বড় বিড়িখোর হয়ে বসে, তখন তাকে সেই বদ্ অভ্যাস ছাড়ানোর কথা বললে তার নেশা তো সে ছাড়বে না, বরং সে নানারকম বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকবে ৷ সেই রকম জন্মগত জাতপাতের অহঙ্কার নিয়ে যাদের জীবন বহুদূর অধঃপাতের দিকে গড়িয়ে গেছে, তাদের 'হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, স্ট্যাম্পগুলো বাদ দিয়ে একমাত্র ভগবানের ভজনা করার কথা বললে তারা প্রচণ্ডভাবে অনর্থক বিক্ষুদ্ধ হবেন ৷ কারণ জনমমগত জাতপাতটা হচ্ছে অসুরভাবাপন্ন ব্যক্তিদেরই সৃষ্টি ৷
প্রতিটি জীবেরই নিত্য ধর্ম রয়েছে এবং তা জন্ম নিরপেক্ষ ৷ এই ধর্মের দেশে বহু প্রাতীন রাজর্ষী ও মহা মহা মুনিঋষিরা তাঁদের বানীতে তাদের আচার আচরণে একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শরণাপন্ন হওয়ার কথা নির্দেশ করেছেন ৷ ভগবান শ্রীকৃষ্ণও একই নির্দেশ করেছেন জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রত্যেক মানুষের জন্য ৷ 
বৈদিক শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত হল কৃষ্ণস্ত ভগবান স্বয়ম্ ৷ শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং ভগবান ৷ শ্রীকৃষ্ণের আদেশের সঙ্গে কোরান বা বাইবেলের মূল শিক্ষার কোন বিরোধ নেই ৷ বরং বৈদিক শাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা অনেক ব্যাপক এবং গভীর ৷ তাই ভক্তিভরে তাঁর আদেশ পালন করা, তাঁর সেবা করাই জগতের সকল দেশের সকল জাতির সকল #যুগের_শ্রেষ্ঠতম ধর্ম ৷
🙌 👏হরে🎶কৃষ্ণ 👏হরে🎶কৃষ্ণ👏 কৃষ্ণ🎶কৃষ্ণ👏 হরে🎶হরে👏 হরে🎶রাম 👏হরে🎶রাম👏 রাম🎶রাম 👏হরে🎶হরে👏🙌
হিন্দু, মুসলিম খ্রিস্টান এই তিনটি ধর্মের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ ? হিন্দু, মুসলিম খ্রিস্টান এই তিনটি ধর্মের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ ? Reviewed by Apon on August 01, 2017 Rating: 5
Powered by Blogger.