হিন্দুধর্মের উৎপত্তি

“আর্য” ধর্মের পরিবর্তিত নাম হল “হিন্দু” ধর্ম। আর এই আর্যধর্ম সবচেয়ে প্রাচীন বলেই এ ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলা হয়।
আর্য-ধর্মের পরিবর্তন নাম এখন হিন্দুধর্ম। আর্য-ধর্মের মূল গ্রন্থ ছিল বেদ। এই আর্য ধর্মের উৎপত্তি কখন বা কবে সৃষ্টি হয়েছে তা কেউ যানেন না। তাই এই আর্যধর্মটি “সনাতন” ধর্ম নামে বিশ্বের বুকে প্রসিদ্ধ। “হিন্দু” শব্দের উৎপত্তি প্যারসিক শব্দ থেকে। প্রাচীন কালে প্যারসিক বলা হত ইরানিদের। হিনস্‌র ভাষায় “হিন্দু” শব্দের অর্থ হল যিনি হিংসা করে না। অর্থাৎ যিনি হিংসা করে, তিনি হিন্দু হতে পারে না। আর্য/ হিন্দুদের আদি-নিবাস ছিল ইরানের ইউরাল পর্বতের পাদদেশের দক্ষিণে তৃণভূমি অঞ্চলের কিরঘিজিস্তান নামক স্থানে। আনুমানিক ধারণা করা হয়, আর্য জনগোষ্ঠী কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ/ ভূমিকম্প অথবা অন্য গোত্রদের আমণের কারণে ইরান থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের দিকে অগ্রসর হয় এবং এই মহাদেশে বসতি স্থাপন করেন। আর্যরা প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পূর্বে সিন্ধু নদীর তীরে বসতি স্থাপন করেন। তাদের বড় অবদান ছিল ওজন পরিমাপ করার জন্য বাটখার উদ্ভাবন এছাড়াও ভূমির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করার জন্য এসকেল তৈরি। বর্তমানে আমরা যে পরিকল্পিত শহরায়ন তৈরীর নির্দশন দেখি তাহল আর্য/ হিন্দু সভ্যতার নিদর্শন। এই সিন্ধু সভ্যতায় প্যারসিকরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তারা “সিন্ধু” শব্দের “স” উচ্চারণ করতে পারতেন না কারণ তাদের মুখে “স” উচ্চারণ না হয়ে “হ” এর মত উচ্চারিত হত, বলেই তারা “সিন্ধু” শব্দটিকে “হিন্ধু” এর মত উচ্চারিত করত। এ থেকেই হিন্দু শব্দের উৎপত্তি এবং প্রচলন। মূলত যারা সিন্ধু সভ্যতায় বাস করতেন তাদেরকেই “হিন্দু” বলা হত। তাই আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি- আমাদের আদি ধর্মের নাম “আর্য” আর এখন “হিন্দু” শব্দটি “আর্য” ধর্মের পরিবর্তিত নামান্তর মাত্র। এজন্যই আমরা বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থে লক্ষ্য করে দেখি “হিন্দু” শব্দের কোন উল্লেখ নেই ।
হিন্দুধর্মের উৎপত্তি  হিন্দুধর্মের উৎপত্তি Reviewed by Apon on August 01, 2017 Rating: 5
Powered by Blogger.